অবিরাম বাংলা ২৪ঃডারবান টেস্টে বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত স্বাগতিকদের পক্ষে দিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন অনফিল্ড দুই আম্পায়ার মারাইস এরাসমুস ও আড্রিয়ান হোল্ডস্টক। বিশেষ করে টেস্টের চতুর্থ দিনের সকালে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষে এলে ম্যাচের পরিস্থিতি অন্যরকমও হতে পারতো!
পারিবারিক কারণে ছুটিতে থাকা সাকিব আল হাসান দল থেকে দূরে থাকলেও খেলায় দৃষ্টি রেখেছেন ঠিকই। রোববারের ডারবানের আম্পায়ারিং নিয়ে হতাশ হয়ে তাই করেছেন টুইট। ওই বার্তায় নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে টেস্ট পরিচালনার দাবী জানিয়েছেন টাইগার তারকা।
যেখানে সাকিব বলছেন, এখন আইসিসির নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনায় ফিরে যাওয়া উচিৎ, যেহেতু ক্রিকেট খেলুড়ে প্রায় সব দেশেই করোনা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
ডারবান টেস্টে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে, তবে অতিথিদের অবস্থান অন্যরকম হতেই পারতো..আম্পায়ারিং নিয়ে আক্ষেপ এ ক্ষেত্রে, ক্লোজ কলের বেশিরভাগ গেছে বিপক্ষে ডিআরএসের অদ্ভূত নিয়মে আম্পায়ার্স কলের অ্যাডভান্টেজে বেশকবার পার পেয়েছে প্রোটিয়ারা।
রোববার স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম তিন উইকেটের দুটিই বাংলাদেশ পেয়েছে রিভিউ নিয়ে, সংখ্যাটা বাড়তেও পারতো আগেই। সবমিলিয়ে ডারবান টেস্টে আম্পায়ারিং নিরপেক্ষ হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মোটেও অযৌক্তিক নয়। ডারবান টেস্টে ম্যাচ রেফারি ছাড়া বাকি সবাই তো সাউথ আফ্রিকান।
দিনের শুরুতেই ৭ রানে জীবন পান অধিনায়ক ডিন এলগার। বোলার ও ফিল্ডাররা মিলে এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি এরাসমুস। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক। অথচ কলটি বাংলাদেশের পক্ষে গেলে নিশ্চিত আউট হয়ে ফিরতেন এলগার। শুধু তাই নয় ওপেনার সারেল এরউইয়ের বিরুদ্ধেও এলবিডাব্লিউর আবেদন করলে তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ দল রিভিউ নিয়ে উইকেট পেয়েছে।
এছাড়া ১৪ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে থাকা কেগান পিটারসনও একবার আম্পায়ারের কল্যাণে বেঁচে গেছেন। তার বিপক্ষে বাংলাদেশ এলবিডাব্লিউর আবেদন করলে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ না নেওয়াতে বেঁচে যান প্রোটিয়া ব্যাটার। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় মিডল স্টাম্পে আঘাত করতো বল।
শেষ পর্যন্ত ১১৪ বলে ৬৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন পিটারসন ও ডিন এলগার। পরে এই জুটি ভেঙেছেন তাসকিন। যদিও এলবিডাব্লিউর আবেদনে শুরুতে সাড়া দেয়নি আম্পায়ার। পরে বাংলাদেশ রিভিউ নিলে ড্রেসিংরুমে ফিরতে বাধ্য হন এলগার।
করোনার কারণে টেস্টে স্বাগতিক দেশের আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার নিয়ম করেছিল আইসিসি, যাতে আম্পায়ারদের ভোগান্তি কমে। এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও সেই নিয়ম বহাল রয়েছে। সাকিবের দাবী, নজরে আসবে তো আইসিসির!
Leave a Reply